![]() | ![]() |
![]() | ![]() |
জন্ম :- ৮ জানুয়ার (বয়স ৭৪) অক্সফোর্ড , যুক্তরাজ্য
বাসস্থান :- যুক্তরাজ্য
জাতীয়তা :- ব্রিটিশ
কর্মক্ষেত্র :- ফলিত গণি তত্ত্বীয় পদার্থবিজ
প্রতিষ্ঠান :- ক্যামব্রীজ বিশ্ববিদ্যা পেরিমিট ইনস্টিটিউট থিওরেটিক্ ফিজিক্স
প্রাক্তন ছাত্র :- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যা ক্যামব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়
পিএইচডি উপদেষ্টা :- ডেনিস শি
অন্যান্য অ্যাকাডেমিক উপদেষ্টারা :- রবার্ট বারম
পিএইচডি ছাত্ররা :- ব্রুস অ্যালে ফে ডাউকা ম্যালকম পে বার্নার্ড ক গ্যারি গিব হারভি রিয় ডন পেইজটিম প্রেসট রেমন্ড লাফ্ জুলিয়ান লাটরেল
পরিচিতির কারণ :- কৃষ্ণবিবর তত্ত্বীয় সৃষ্টিতত্ত্ব কোয়ান্টায় মহাকর্ষ
প্রভাবান্বিত :- ডিকরান ত
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার :- প্রিন্স অফ অস্ট্রিয়ানস পুরস্কার (198 কোপলি পদ (২০০৬) এডিংটন পদ (১৯৭৫) হিউ পদক (১৯ আলবার্ট আইনস্টাইন প (১৯৭৯) উলফ পুরস্কার (১৯৮৮) জুলিয়াস এ লিলিয়েন পুরস্কার (১৯
স্বাক্ষর
স্টিফেন উইলিয়াম হকিং , (জন্ম: ৮
জানুয়ারি, ১৯৪২) সিএইচ , সিবিই ,
এফআরএস, পিএইচডি (ইংরেজি : Stephen
William Hawking; জন্ম: জানুয়ারি ৮ , ১৯৪২)
বিশিষ্ট ইংরেজ তাত্ত্বিক
পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ
হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত
ব্যক্তিত্ব। তাঁকে বিশ্বের সমকালীন
তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম
হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হকিং
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের
লুকাসিয়ান অধ্যাপক (স্যার আইজ্যাক
নিউটনও একসময় এই পদে ছিলেন) [১]
হিসেবে ১ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে
অবসর নেন। [২] এছাড়াও তিনি
কেমব্রীজের গনভিলি এবং কেয়াস
কলেজের ফেলো হিসাবে কর্মরত
আছেন। শারীরিকভাবে ভীষণরকম
অচল এবং এ.এল.এসের ( এমায়োট্রফিক
ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা লাউ
গেহরিগ রোগ - যা একপ্রকার মোটর
নিউরন রোগ ) জন্য ক্রমাগতভাবে সম্পূর্ণ
অথর্বতার দিকে ধাবিত হওয়া
সত্ত্বেও বহু বছর যাবৎ তিনি তাঁর
গবেষণা কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে
চালিয়ে যাচ্ছেন।
পদার্থবিজ্ঞানে হকিংয়ের দুইটি
অবদানের কথা সবচেয়ে বেশি
স্বীকৃত। প্রথম জীবনে সতীর্থ রজার
পেনরাজের সঙ্গে মিলে সাধারণ
আপেক্ষিকতায় সিংগুলারিটি
সংক্রান্ত তত্ত্ব। হকিং প্রথম
অনিশ্চয়তার তত্ত্ব ব্ল্যাক হোল-এর
ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান
যে ব্ল্যাক হোল থেকে বিকিরিত
হচ্ছে কণা প্রবাহ। এই বিকরণ এখন
হকিং বিকিরণ নামে (অথবা কখনো
কখনো বেকেনস্টাইন-হকিং
বিকিরণ) অভিহিত।[৩] প্রায় ৪০ বছর
ধরে হকিং তত্ত্বীয়
পদার্থবিজ্ঞানের চর্চা করছেন।
লিখিত পুস্তক এবং বিভিন্ন
অনুষ্ঠানে হাজির থেকে হকিং
একাডেমিক জগতে যথেষ্ট
খ্যাতিমান হয়ে উঠেছেন। তিনি
রয়েল সোসাইটি অব আর্টসের
সম্মানীয় ফেলো[৪] এবং
পন্টিফিকাল একাডেমি অব
সায়েন্সের আজীবন সদস্য।[৫] ২০১৪
সালে তাকে নিয়ে একটি মুভি
তৈরী হয়,,নাম থিওরী অফ
এভরিথিং।।
[h2] জীবনী[/h2]
গ্যালিলিও গ্যালিলাই-এর মৃত্যুর
ঠিক তিনশত বছর পরে, ১৯৪২ সালের ৮ই
জানুয়ারি স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম,
অক্সফোর্ডে । হকিংয়ের বাবা ড.
ফ্রাঙ্ক হকিং একজন জীববিজ্ঞান
গবেষক ও মা ইসোবেল হকিং একজন
রাজনৈতিক কর্মী। হকিংয়ের
বাবা-মা উত্তর লন্ডনে থাকতেন,
লন্ডনে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
দামামা চলাকালীন হকিং গর্ভে
আসার পর নিরাপত্তার খাতিরে
তারা অক্সফোর্ডে চলে যান।
হকিংয়ের জন্মের পর তারা আবার
লল্ডনে ফিরে আসেন। ফিলিপ্পা ও
মেরি নামে হকিংয়ের দুই বোন
রয়েছে। এছাড়া হকিং পরিবারে
এডওয়ার্ড নামে এক পালকপুত্রও ছিল।
[৬] হকিংয়ের বাবা-মা পূর্ব লন্ডনে
বসাবস করলেও ইসাবেল গর্ভবতী
থাকার সময় তারা অক্সফোর্ডে চলে
যান। সে সময় জার্মানরা
নিয়মিতভাবে লন্ডনে বোমাবর্ষণ
করতো। হকিংয়ের একটি প্রকাশনা
থেকে জানা গেছে তাদের
বসতবাড়ির কয়েকটি গলি পরেই
জার্মানীর ভি-২ মিসাইল আঘাত
হানে। [৭]
স্টিফেনের জন্মের পর তাঁরা আবার
লন্ডনে ফিরে আসেন। সেখানে
স্টিফেনের বাবা ন্যাশনাল
ইনস্টিটিউট ফর মেডিকাল
রিসার্চের প্যারাসাইটোলজি
বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন
করেন। [৬]
১৯৫০ হকিংদের পরিবার
হার্টফোর্ডশায়ারের সেন্ট
অ্যালবাতে চলে যান। ১৯৫০ থেকে
১৯৫৩ সাল পর্যন্ত হকিং সেন্ট
অ্যালবার মেয়েদের স্কুলে পড়েন।
(সে সময় ১০ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেরা
মেয়েদের স্কুলে পড়তে পারতো। [৮] )
পরে সেখান থেকে ছেলেদের
স্কুলে চলে যান। স্কুলে তার
রেজাল্ট ভাল ছিল বটে তবে
অসাধারণ ছিল না।[৬] স্কুলের
শিক্ষকদের মধ্যে গণিত শিক্ষক
ডিকরান তাহতার অনুপ্রেরণার কথা
হকিং পরবর্তী জীবনে স্মরণ করেন
[৯] । পরবর্তী সময়ে হকিং স্কুলের
সঙ্গে তার সম্পর্ক বজায় রাখেন।
নিজের নামে স্কুলের চারটি
হাউসের একটি ও সহপাঠের লেকচার
সিরিজের নাম দেন। স্কুল
ম্যাগাজিন “দি অ্যালবানিয়ান”-এ
দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন।
বিজ্ঞানে হকিংয়ের সহজাত আগ্রহ
ছিল। [৬] হকিংয়ের বাবার ইচ্ছে ছিল
হকিং যেন তার মতো ডাক্তার হয়।
কিন্তু হকিং গণিত পড়ার জন্য
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের
ইউনিভার্সিটি কলেজে ভর্তি হন।
কিন্তু যেহেতু সেখানে গণিতের
কোর্স পড়ানো হতো না, সেজন্য
হকিং পদার্থবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে
পড়া শুরু করেন। সে সময়ে তার
আগ্রহের বিষয় ছিল তাপগতিবিদ্যা,
আপেক্ষিকতা এবং কোয়ান্টাম
বলবিদ্যা ।
[h2] তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানে ক্যারিয়ার[/h2]
কেমব্রিজে আসার পরপরই হকিং মটর
নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হোন। এ
কারণে তার প্রায় সকল মাংসপেশী
ধীরে ধীরে অবশ হয়ে আসে।
কেমব্রিজে প্রথম দুইবছর তাঁর কাজ
তেমন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ছিল না। কিন্তু,
রোগের প্রকোপ কিছুটা থামলে,
হকিং তাঁর সুপারভাইজার ডেনিশ
উইলিয়াম শিয়ামার সাহায্য নিয়ে
পিএইচডি অভিসন্দর্ভের কাজে
এগিয়ে যান। [৬]
১৯৭৪ সালে হকিং রয়াল
সোসাইটি র অন্যতম কনিষ্ঠ ফেলো
নির্বাচিত হন।
[h2] গবেষণার ক্ষেত্রসমূহ[/h2]
" তত্ত্বীয় কসমোলজি আর কোয়ান্টাম
মধ্যাকর্ষ হকিংয়ের প্রধান গবেষণা
ক্ষেত্র। ১৯৬০ এর দশকে ক্যামব্রিজের
বন্ধু ও সহকর্মী রজার পেনরোজের
সঙ্গে মিলে হকিং আইনস্টাইনের
আপেক্ষিকতার তত্ত্ব থেকে একটি
নতুন মডেল তৈরি করেন। [১০] সেই
মডেলের ওপর ভিত্তি করে ১৯৭০ এর
দশকে হকিং প্রথম তাদের (পেনরোজ-
হকিং তত্ত্ব নামে পরিচিত)
তত্ত্বের প্রথমটি প্রমাণ করেন। এই
তত্ত্বগুলো প্রথমবারের মতো
কোয়ান্টাম মহাকর্ষে এককত্বের
পর্যাপ্ত শর্তসমূহ পূরণ করে। আগে
যেমনটি ভাবা হতো এককত্ব কেবল
একটি গাণিতিক বিষয়। এই তত্ত্বের
পর প্রথম বোঝা গেল, এককত্বের বীজ
লুকোনো ছিল আপেক্ষিকতার
সাধারণ তত্ত্বে।[১১]
সমকালীন মন্তব্যগুচ্ছ
১৯৮৫ সালে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে
আসেন হকিং ৷ ১৯৮৫ সালের গ্রীষ্মে
জেনেভার CERN এ অবস্থানকালে
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন
বিজ্ঞানী৷ চিকিত্সকরাও তাঁর কষ্ট
দেখে একসময় লাইফ সাপোর্ট
সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব
দিয়েছিলেন৷ সম্প্রতি হকিং -এর
জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে এক
তথ্যচিত্র৷ সেখানেই এই তথ্য
জানিয়েছেন হকিং৷ তিনি
বলেছেন , ‘নিউমোনিয়ার ধকল আমি
সহ্য করতে পারিনি , কোমায় চলে
গিয়েছিলাম৷ তবে চিকিত্সকরা
শেষ অবধি চেষ্টা চালিয়ে
গিয়েছিলেন , হাল ছাড়েননি৷ ’
কিন্ত্ত চেষ্টা সত্ত্বেও অবস্থার
উন্নতি না হওয়ায় যন্ত্রণা থেকে
মুক্তি দিতে চিকিত্সকরা
হকিংয়ের স্ত্রী জেনকেও লাইফ
সাপোর্ট সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়ার
কথা জানান৷ তবে সে প্রস্তাবে
অবশ্য রাজি হননি জেন৷ পাঁচ দশক ধরে
মোটর নিউরোনের ব্যাধির শিকার
জগত্খ্যাত এই পদার্থবিদ৷
বিশেষজ্ঞদের মত , এই রোগে
আক্রান্তরা বড়জোর বছর পাঁচেক
বাঁচেন৷ তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে
রোগের সঙ্গে হকিং -এর লড়াইয়ের
কাহিনি৷ বেঁচে থাকার জন্য
হকিংয়ের আর্তিও ফিরে এসেছে
বারে বারে৷
গত দু’দশকের সঙ্গী জেন বলেছেন ,
‘হকিংয়ের এই ব্যাধি আমাদের
ব্যক্তিজীবনের ব্ল্যাকহোল৷ যে
গহ্বরে বাঁচার আশা হয়তো তলিয়ে
যেতে পারত অনেক আগেই৷ কিন্ত্ত
সম্পর্কে আস্থা আর পরস্পরের প্রতি
অগাধ ভালোবাসা তলিয়ে যেতে
দেয়নি৷ ’তথ্যচিত্রে কর্মজীবনের
চেয়ে হকিংয়ের ব্যক্তিজীবনকে
বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় বিজ্ঞানীদের
একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷
তাঁদের দাবি , বিজ্ঞানে অবদান
ছাড়া হকিংয়ের জীবনকে
দেখানো মানে বকলমে তাঁকেই
গুরুত্বহীন করে তোলা৷ তবে
তথ্যচিত্রে এমন কিছু তথ্যও
পরিবেশিত হয়েছে , যা হকিংয়ের
একটা অদেখা দিক আমাদের সামনে
তুলে ধরে৷
একটা পুরানো বাজিতে পরাজয়
ধর্ম বিশ্বাস
নিজের বই বা বক্তৃতায় নানা
প্রসঙ্গে হকিং “ঈশ্বর” শব্দটি ব্যবহার
করেছেন। [১২] তার স্ত্রীসহ অনেকে
তাকে একজন নাস্তিক হিসাবে
বর্ণনা করলেও[১৩][১৪] হকিং নিজে
মনে করেন তিনি “সাধারণ অর্থে
ধার্মিক নন” এবং তিনি বিশ্বাস
করেন “দুনিয়া বিজ্ঞানের নিয়ম
মেনেই চলে। এমন হতে পারে
নিয়মগুলো ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন কিন্তু
তিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোর জন্য
কখনো হস্তক্ষেপ করেন না”। [১৫]
পুরস্কারাদি
২০০৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর কেমব্রিজ
বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বীয়
কসমোলজি কেন্দ্রে হকিংয়ের
একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়। প্রয়াত
শিল্পী আয়ান ওয়াল্টার এটি তৈরি
করেন। [১৬] ২০০৮ সালের মে মাসে
হকিংয়ের আর একটি আবক্ষ মুর্তি
উন্মোচন করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার
কেপ টাউনে অবস্থিত আফ্রিকান
ইনস্টিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল
সায়েন্সের সামনে। মধ্য আমেরিকার
দেশ এল সালভাদর তাদের রাজধানী
সান সালভাদরে বিজ্ঞান
জাদুঘরটির নাম হকিংয়ের নামে
রেখেছে। [১৭]